ইবলিস কে নিয়ে ৬নং শিক্ষা
Table of Content:
৬নং শিক্ষা: আল্লাহ্ প্রত্যেকের মনের অবস্থা জানেন। এই মনের অবস্থা যদি প্রকাশ করার ব্যবস্থা না করে কাউকে বেহেস্তী এবং কাউকে দোজখী বলে পরকালে রায় দিতেন, তাহলে তারা অবশ্যই আল্লাহ্র কাছে বলত যে, আল্লাহ্ তুমি আমার আমল দেখে আমাকে দোজখে যাওয়ার হুকুম দিলে। আর ওর মধ্যে এমন কি আমল দেখলে যে ওকে বেহেস্তে দেয়ার হুকুম দিলে, তখন আল্লাহ্ যদি বলেন যে, আমি আলেমুল গায়েব হিসাবে জানি যে, তুমি দুনিয়ায় কোন হুকুম অমান্য করতে আর কে কোন হুকুম অমান্য করতো না। কিয়ামতে এ প্রশ্ন মানুষ যেন করতে না পারে সেই জন্য আল্লাহ্ মানুষকে এমন পরীক্ষায় ফেলেন যেন তার মনের অবস্থা প্রকাশ হয়ে যায়।
এ কারণেই আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে আগুনের মধ্যে যাওয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি না করেই যদি ইব্রাহিম (আঃ)-কে আল্লাহ্ তৎকালীন পৃথিবীর জন্যে নেতা নিযুক্ত করে দিতেন বা উচ্চ মর্যাদা করে দিতেন তাহলে তো অন্যেরা একথা অবশ্যই বলার সুযোগ পেত যে হে আল্লাহ তুমি ইব্রাহিম (আঃ) এর মধ্যে এমন কি জিনিষ পেলে যার জন্যে তাঁকে এত মর্যাদা দিলে এ কারণে মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্যেই ইব্রাহিম (আঃ) এর মনের অবস্থা জগতের সামনে সুষ্পষ্ট করে তুলে ধরলেন। যার কারণে ইব্রাহিম (আঃ)কে উচ্চ মর্যাদা দেয়ার কারণ সম্পর্কে কেউ কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে। ঠিক তদ্রুপ আল্লাহ তাঁর প্রত্যেক নবী রাসূলকে এমন কঠিন অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন করেছেন যার জন্যে কিয়ামতের দিন নবী রাসূলগণকে উচ্চ মর্যাদা দেয়ার ব্যাপারে কেউ কোন প্রশ্ন তুলতে পারবে না, শয়তান চেয়েছিলে যে তাকে পরীক্ষায় না ফেললেই ভাল হতো। তাই সে বললো "ফা বিনা আগওয়াইতানি" অর্থাৎ তুমি আদমকে সিজদার হুকুম দিয়েই তো আমাকে ফাসিয়ে দিলে, তোমার মাখলুক জানতে পারল যে আমার মনের মধ্যে অহংকার ছিল, যদি আদমকে সিজদা করার হুকুম না দিতে তাহলে তো আমি মুয়াল্লিমুল মালাকুত ফেরেস্তাদের ওস্তাদ হিসাবে কিয়ামতে মর্যাদা পেতাম। তুমি এই হুকুম দিয়েই তো আমার সর্বনাশ করলে। আর আল্লাহ হুকুম এই জন্যে দিলেন যেন তার দিলের আসল অবস্থা প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং পরকালে যেন সে মুতাবিক তার যাজা বা দেয়া যায়।