বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে কাদম্বিনী বসুর অবদান আলোচনা [হাওড়া বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউশন; হেয়ার স্কুল] করো। অথবা, বাংলার চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে ড. কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচয় দাও। [নমুনা প্রশ্ন] [নব নালন্দা; একে ঘোষ মেমোরিয়াল স্কুল; কৃয়নগর কলেজিয়েট স্কুল] অথবা, বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৯]

Long Answer
Views 62

Answer:

উত্তর: অধুনা বিহারের অন্তর্গত ভাগলপুরে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই কাদম্বিনী বসু জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ভাগলপুর গার্লস ইন্সটিটিউটে এবং ১৯৮৩-এ কলকাতার 'হিন্দু বোর্ডিং স্কুল'-এ ভরতি হন। দু- বছর পর তাঁকে ভরতি করা হয় বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয়ে। এরপর বেথুন স্কুলে ভরতি হয়ে সেখান থেকেই তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন। ১৮৮০-তে এফ এ পাস করে পরের বছর মেডিকেল পড়তে চেয়ে আবেদন করেন তিনি। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে কাদম্বিনী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন। তিনি এবং চন্দ্রমুখী বসু ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে দ্বারকানাথ গাঙ্গুলির সঙ্গে কাদম্বিনীর বিবাহ হয়। পরবর্তীকালে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রথম ছাত্রী হিসেবে ভরতি হন। কিন্তু অধ্যাপকদের অসন্তোষের জেরে তিনি মেডিসিন-এ উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তবে অধ্যক্ষ প্রদত্ত জি বি এম সি (গ্র্যাজুয়েট অব বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ) উপাধি লাভ করে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে লেডি ডাফরিন হাসপাতালে নিযুক্ত হন কাদম্বিনী। ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দেই - তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে পঞ্চম কংগ্রেসের অধিবেশনে যোগদান করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে ট্রিপল ডিপ্লোমা লাভ করেন। নেপালের রাজমাতার চিকিৎসার জন্য তিনি ১৮৯৫-৯৬ খ্রিস্টাব্দে নেপালে যান। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে কাদম্বিনী দেবী খনি শ্রমিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বিহারে যান। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যু হয় কাদম্বিনী বসুর।

Related Articles:

This section is dedicated exclusively to Questions & Answers. For an in-depth exploration of ইতিহাস, click the links and dive deeper into this subject.

Join Our telegram group to ask Questions

Click below button to join our groups.